খাদ্যাভ্যাসে শুধু ওজনই বাড়ে। কিন্তু খাদ্যাভ্যাস যে ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে সেকথা একবারও ভেবে দেখেছেন কি? হ্যাঁ, আপনার দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে কিছুটা অদলবদল এবং নিয়ন্ত্রণই আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বা কমাতে সাহায্য করবে। সেগুলো কিভাবে? আসুন জেনে নেয়াই যাক।
পানি পান করুন
প্রচুর ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের পূর্বে পানি পান করুন। অনেক সময় তৃষ্ণার অনুভূতিকে অনেকে ক্ষুধা ভেবে ভুল করে বসেন। তাই শুরুতে পানি পান করলে আপনার ক্ষুধাভাব কমতে পারে। তাই খাবার খাওয়ার পূর্বে এক গ্লাস পানি পান করলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
স্ন্যাকস নির্বাচনে সতর্কতা
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে নিন। বিশেষত রাতে অনেকে টিভির সামনে বসে কিংবা মোবাইল টিপতে টিপতে খাবার খান। এতে নিজের অজ্ঞাতেই অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার প্রবণতা বাড়ে। তাই রাতে স্ন্যাকস খাওয়ার সময় সতর্ক থাকুন। মেপে স্ন্যাকস নিয়ে বসুন।
কম খান কিন্তু কয়েকবার খান
দিনে চার থেকে পাঁচবার বিভিন্ন সময়ে কম কম করে খেলে ক্ষুধাভাব থাকেনা। এতে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার ভয়ও থাকেনা। তাই কম করে খান কিন্তু কয়েকবার খান।
প্রত্যেক খাবারে প্রোটিন
আমিষ বা প্রোটিন অবশ্যই শর্করা কিংবা স্নেহ জাতীয় খাদ্য থেকে ভালো। তাছাড়া প্রোটিন পেটে গেলে ক্ষুধা দ্রুত চাগিয়ে উঠতে পারেনা। তাই প্রত্যেক খাবারের সময় প্রোটিন গ্রহণ করুন।
মশলা ব্যবহার করুন
একাধিক মশলার ব্যবহারে খাবারের ফ্লেভার বাড়াতে পারলে বেশি খাওয়া যায়না। এতে আপনার ক্ষুধা দ্রুত মিটে যাবে। ফলশ্রুতিতে আপনি সহজেই ওজন বাড়ার হাত থেকে নিস্তার পাবেন।
বাচ্চাদের পোরশনের খাবার অর্ডার দিন
রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন সাইজ বা পোরশোনের খাবার পাওয়া যায়। সবসময় একজনের সমান খাবার নেয়ার চেয়ে বাচ্চাদের জন্যে নির্ধারিত পোরশোনের খাবার নিন। নেহাৎ তেমন কিছু না থাকলে কম নেয়ার চেষ্টা করবেন।