ব্রিটেনে যে ভাবে করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি ওমিক্রন সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিলেন নয়াদিল্লির এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। তাঁর কথায়, ‘‘নজরদারি বাড়িয়ে সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’’
বিশ্বের ৯০টি দেশে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন। এই প্রজাতির সংক্রমণ ক্ষমতা কতটা, তা নিয়ে এখন চিন্তিত বিশেষজ্ঞেরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র মতে, জনগোষ্ঠীতে ওমিক্রনের ছড়িয়ে পড়ার হার অতীতের ডেল্টা প্রজাতির থেকেও বেশি। কোনও একটি এলাকায় গড়ে দেড় থেকে তিন দিনের মধ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে বলেই গবেষণায় পেয়েছে হু। তারা জানিয়েছে, যে হারে ওমিক্রন গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে আগামী দিনে সংক্রমণের প্রশ্নে একটি মুখ্য প্রজাতি হতে চলেছে। বিশ্বে যে ভাবে ওমিক্রন ছড়াচ্ছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এমসের ডিরেক্টর গুলেরিয়া। তিনি বলেন, ‘‘ব্রিটেনের মতো পরিস্থিতি যাতে না হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। বিশ্বের যেখানে ওমিক্রনের ঢেউ আসছে তার উপরে কড়া নজর রাখার পাশাপাশি যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’’
দেশে বর্তমানে ১৬১ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত। সোমবার রাজ্যসভায় এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া। তিনি জানান, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। তবে ভারতীয় প্রতিষেধকগুলি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর হবে তা এখনও জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন মাণ্ডবিয়া। আজ রাজ্যসভায় তিনি বলেন, ‘‘প্রতিষেধকের বিরুদ্ধে ওমিক্রন প্রজাতি কেমন সাড়া দিচ্ছে তা গবেষণাগারে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। খুব দ্রুত এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।’’ সূত্রের মতে, সেই গবেষণার ফলাফল সামনে আসার পরে বুস্টার ডোজ় নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। এ দিকে, হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক সংস্থা তাদের ইন্ট্রানেজ়াল প্রতিষেধককে বুস্টার ডোজ় হিসাবে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে দেখার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছে।