‘দেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা ও হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করা। এটি হচ্ছে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।’
‘পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বিনা বিচারে বহু সামরিক অফিসার জোয়ানকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। সেই সময় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এখন যারা মানবাধিকার নিয়ে বিবৃতি দেয় সেগুলো নিয়ে তারা তেমন কোনো উচ্চবাচ্য করে না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকার দেশে মানবাধিকার রক্ষায় নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উপস্থাপিত হলে সেটি যেই হোক তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার রক্ষা নিয়ে বিদেশ থেকে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন সংগঠন বিবৃতি দেয়, কিন্তু সেসব সংগঠন যে সমস্ত দেশ থেকে বিবৃতি দেয় সেসব দেশে নানাভাবে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, সেগুলো নিয়ে তারা কখনো উচ্চবাচ্য করে না।’
উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি কেএম মুছার সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আবুল ফজল ও যুগ্ম সম্পাদক রুবায়েত রাশেদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উদ্বোধকের বক্তব্য দেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য কামরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় মানবাধিকার কমিশনের গভর্নর আমিনুল হক।
বক্তব্য দেন ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম শফি, আইনজীবী সেকান্দর চৌধুরী, রেহেনা আক্তার, মাস্টার আবদুর রউফ, নির্মল কান্তি দাশ, রঞ্জন বড়ুয়া, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আকতার হোসেন, উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সাধারণ সম্পাদক এম ইসকান্দর মিয়া তালুকদার, মানবাধিকার নেতা ইঞ্জিনিয়ার অলি আহমদ, মো. শহীদুল্লাহ প্রমুখ।