ইউনিভার্স ট্রিবিউন অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৩, ১৯:১৭ | আপডেট : ১৭ মে ২০২৩, ১৯:১৭
|| প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল দেশে পরিণত করেছেন সেই প্রত্যয়ে নিজেকে গড়ে তুলতে এবং দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বুধবার (১৭ মে, ২০২৩) শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ কর্তৃক রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা, শিক্ষা উপকরণ ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে প্রত্যয় নিয়ে, একটি গরিব দেশকে আত্মমর্যাদাশীল দেশে পরিণত করেছেন, মাত্র ১৪ বছরে একটি আত্মনির্ভরশীল দেশে পরিণত করেছেন, একজন বাঙালি হিসেবে, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে, বাংলাদেশের সন্তান হিসেবে আপনাদেরও সে প্রত্যয় বুকে ধারণ করে দেশ গঠনে অংশ নিতে হবে। কেউ যেন আমাদের নিচু করে দেখতে না পারে, আমরা যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি, চলতে পারি, সেভাবেই নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।
মেয়র বলেন, দেশের বাইরে থাকায় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে যান। কিন্তু বেঁচে গেলেও তারা আর দেশে ফিরতে পারেন না। তাদের শরণার্থীর মতো বহির্বিশ্বে থাকতে হয়। জার্মানি থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয়। তাদের চলে যেতে হয় ইংল্যান্ডে। সেখানে কিছুদিন থাকেন। তারপরে তাদের আশ্রয় নিতে হয় ভারতে। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাদের আশ্রয় দেন। দীর্ঘ ছয় বছর স্বৈরশাসক খুনি জিয়াউর রহমান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে দেশে ফিরতে দেয়নি। ১৯৮০ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এরপরেই তিনি অনেকটা জোর করেই বলেন, আমি দেশে ফিরে আসব। আমাকে দেশে ফিরতে দিতে হবে। তারপরেই খুনি জিয়াউর রহমান শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরতে দিতে বাধ্য হয়।
তাপস বলেন, পরিবারের সবাইকে হারানোর পরে সেই বেদনা, কষ্ট, শোক বহন করে, শেখ হাসিনা আজ থেকে ৪২ বছর আগে ১৭ মে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসেন। তাই আজকের এই দিনটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার স্বদেশে আবার ফিরে আসতে পেরেছেন। দেশে ফিরে তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে আজ অবধি পরিশ্রম করে চলেছেন, সংগ্রাম করে চলেছেন। তার এই অসীম সাহসিকতা, নেতৃত্ব, সংকল্প, স্বপ্ন এবং জনগণের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে এ দেশের জনগণ আবার বিপুল ভোটে বিজয়ী করে সরকার গঠনের সুযোগ দেয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, আয়োজক সংগঠন “শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ”এর মহাসচিব কে. এম. শহিদ উল্যা, সাংগঠনিক সচিব ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন, উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।