Facebook
Twitter
Youtube
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনগুলো সম্পৃক্ত থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন, সরকার নমনীয় নয়, ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে মাত্র। নিরাপত্তা বাহিনী চরম ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করছে। কিন্তু এ অবস্থা আর থাকবে না।
আন্দোলনকারীদের হত্যার প্রতিবাদে রোববার হরতাল পালন করেছে হেফাজতে ইসলাম। হরতালে দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকারদলীয় সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হরতাল ডেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সুন্দর, শান্তিপূর্ণ দেশ পরিচালনা ব্যাহত করতেই এসব অপচেষ্টা। শুধু হেফাজত নয়, বাঁশের কেল্লার সম্পৃক্ততা প্রমাণ করে যারা আগে সন্ত্রাস ও জঙ্গি সংগঠন করেছিল তাদেরই প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। রণকৌশল জানান দিচ্ছে এতে জামায়াত-শিবির, হরকাতুল জিহাদ ও বিএনপির মদদ থাকতে পারে। সবকিছু আমরা খতিয়ে দেখছি। যে যেখানে থাকুক আমরা কাউকে ছাড় দেব না।
জঙ্গি সংগঠন বলতে কাদের বোঝাচ্ছেন? জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এর আগেও আপনারা দেখেছেন, কিছু জঙ্গি সংগঠন রয়েছে। এর মধ্যে মদদদাতা রয়েছে। জামায়াত-শিবিরের কিছু অদৃশ্য … যখন আমরা সুতা ধরে টান দিই, এসব জঙ্গি সংগঠনের নেতাগুলো আগে জামায়াত-শিবিরের নেতা ছিলেন বলে আমরা দেখেছি। হরকাতুল জিহাদ বলুন, আনসার উল্লাহ বাংলা টিম বলুন, যেটাই বলুন- সবগুলোর মূল নেতৃত্ব এসেছে জামায়াত-শিবির থেকে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এতিম ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গুজব সৃষ্টি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করে উত্তেজনা তৈরি করা হচ্ছে। এগুলো থেকে বিরত না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অহেতুক এসব আচরণ কাম্য নয়।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিক্ষোভে হতাহতের ঘটনায় শনিবার বিক্ষোভ ও রোববার হরতাল ডাকে হেফাজতে ইসলাম। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক হামলা, ভাংচুর, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কয়েকটি থানায় হামলা, ভাংচুর, অস্ত্র লুটসহ বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার হরতালের দিনও ঢাকাসহ সারা দেশে গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, সড়ক অবরোধ, হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা করলে তাদের ওপর হামলা, এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে দিনভর। রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা-অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই দুই দিনে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রোববার পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১০ ও চট্টগ্রামে ৪ জন নিহত হয়েছেন।
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
আরও খবর
- আল-রাজী কমপ্লেক্স (জি-৪০১-৩ ), ১৬৬-১৬৭, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মরণি, বিজয়নগর, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ
- ফোন : +৮৮ ০২ ৫৫১১১৫০১-২
- ফ্যাক্স : +৮৮ ০২ ৫৫১১১৫০৩
- ই-মেল : info.universetribune@gmail.com
- প্রকাশকঃ মোহাম্মদ আনারুল ইসলাম
- কপিরাইট
- ২০১৯-২০২০ ইউনিভার্স মিডিয়া লিমিটেড
- সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত কপিরাইট