শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন | ছবি: সংগৃহীত

সারের আমদানি নির্ভরতা কমাতে উত্তরবঙ্গে সার কারখানা নির্মাণ প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিতে বিসিআইসির প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

আজ বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) আয়োজিত দু’দিন ব্যাপী ব্যবস্থাপনা পরিচালক সম্মেলনের সমাপ্তি অধিবেশনে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই নির্দেশ দেন।

ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বিশেষ অতিথি ছিলেন।

বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাপ্তি অধিবেশনে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ইনস্যুলেটর এন্ড স্যানিটারি ওয়্যার (বিআইএসএফ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আবু সাদেক তালুকদার এবং ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের পরিচালক মো: রাজিউর রহমান মল্লিক বক্তব্য রাখেন।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, লাখ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার বিদেশ থেকে আমদানির পরিবর্তে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সারের যোগান বাড়াতে নতুন সার কারখানা নির্মাণ করা হচ্ছে। কোভিডকালীন শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সার ফ্যাক্টরিসহ অন্যান্য কারখানা চালু থাকায় কৃষি উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও মানুষের জীবন-জীবিকা সুরক্ষার বিশাল দায়িত্ব শিল্প মন্ত্রণালয়ের ওপর বর্তায়। এ দায়িত্ববোধ থেকে নিরবচ্ছিন্ন সার সরবরাহ নিশ্চিত করে শিল্প মন্ত্রণালয় কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট রয়েছে। সার কারখানা পর্যায়ে উৎপাদন যাতে কোনো অবস্থায় ব্যাহত না হয়, সে লক্ষ্যে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। সার কারখানার উৎপাদন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেয়ার লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের প্রশাসনিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। একই সাথে কারখানাগুলোর উৎপাদনশীলতা বাড়াতে কারিগরি জনবলের প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন জনবল নিয়োগ করা হবে বলে তিনি জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, যারা সার ও কীটনাশক মজুদ করে কৃত্রিম সংকটের চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কোনো সার কারখানা না থাকায় তিনি সেখানে একটি সার কারখানা স্থাপনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার তাগিদ দেন।
তিনি বলেন, যে সকল বাফার গোডাউনের জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে, সেখানে গোডাউন নির্মাণের পরবর্তী কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে হবে। বাফার গোডাউনে সংরক্ষিত সারের হিসাব যথাযথভাবে সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।

আরও খবর
আরও
 ইউনিভার্স ট্রিবিউন

About The Author