Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
বঙ্গোপসাগরে বর্ধিত মহীসোপানে বাংলাদেশের সীমা নির্ধারিত হলে বিস্তীর্ণ এই সমুদ্র এলাকায় প্রাকৃতিক সম্পদ অন্বেষণ করতে সক্ষম হবে বাংলাদেশ; যা আমাদের জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) ৭৫তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৩৮তম প্লেনারি সভায় ‘সমুদ্র আইন’ বিষয়ক এক আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি জাতিসংঘের মহীসোপন সীমা বিষয়ক কমিশনে বঙ্গোপসাগরে বর্ধিত মহীসোপানে বাংলাদেশের সীমা সংক্রান্ত সংশোধিত তথ্যাদি প্রদানের বিষয়টির উদাহরণ টেনে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা আশা প্রকাশ করেন, বর্ধিত মহীসোপানের নতুন সীমা ‘সুনীল অর্থনীতি’র সম্ভাবনাগুলোকে ঘরে তুলতে নতুন সুযোগ এনে দেবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিষয়ক বিরোধের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করতে পেরেছেন এবং এ সংক্রান্ত সংশোধিত তথ্যাদি জাতিসংঘে জমা দিয়েছে।
সমুদ্র বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো বিশেষ করে সমুদ্র-স্তরের উচ্চতা বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ক্রমাগত সমুদ্র-স্তরের উত্থান সুপেয় পানি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য ও জীবিকা সম্পর্কিত বিদ্যমান দূরাবস্থাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং এজেন্ডা ২০২০ এর সময়ানুগ ও কার্যকর বাস্তবায়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশ সমুদ্র-স্তরের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো নাজুক পরিস্থিতির শিকার হয়েছে মর্মে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
এই নাজুক পরিস্থিতি মোকাবেলায় শেখ হাসিনা সরকার গৃহীত ২০০৯ সালের ‘জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা’সহ বিভিন্নমুখী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি। দেশের সমুদ্র-সম্পদের দক্ষ ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ মেরিটাইম জোন আইন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে মর্মে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
চলমান কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষাপটে সমুদ্র সম্পদের ওপর নির্ভরশীল মানুষ বিশেষত উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র ও উপকূলীয় সম্প্রদায়ের বিভিন্ন পেশাজীবীদের জীবিকা ও কর্মসংস্থান সংকটের বিষয়টি উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও স্থানীয় পর্যায়ে সম্মিলিত সহযোগিতা ও সমন্বয় বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বরোপ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তারা যাতে এ পরিস্থিতি থেকে আরও ভালো পর্যায়ে উত্তরিত হতে পারেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এ সভায় সামুদ্রিক মৎস্য এবং সমুদ্র আইন বিষয়ক দুটি রেজুলেশন গ্রহণ করে। বাংলাদেশ উভয় রেজুলেশনে সমর্থন জানায়।
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
আরও খবর
আরও
- আল-রাজী কমপ্লেক্স (জি-৪০১-৩ ), ১৬৬-১৬৭, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মরণি, বিজয়নগর, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ
- ফোন : +৮৮ ০২ ৫৫১১১৫০১-২
- ফ্যাক্স : +৮৮ ০২ ৫৫১১১৫০৩
- ই-মেল : info.universetribune@gmail.com
- প্রকাশকঃ মোহাম্মদ আনারুল ইসলাম
- কপিরাইট
- ২০১৯-২০২০ ইউনিভার্স মিডিয়া লিমিটেড
- সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত