Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ভাস্কর্য নিয়ে আপনাদের অবস্থান স্পষ্ট করুন। অন্যথায় অপশক্তির পেছনে ইন্ধনদাতা হিসেবে জনগণ আপনাদের চিহ্নিত করবে।
তিনি বলেন, সারা দেশ যখন এ ইস্যুতে উত্তাল, তখন উনি (মির্জা ফখরুল) নির্লজ্জের মতো বললেন, এটি তার কাছে কোনো ইস্যু নয়।
তার ইস্যু হচ্ছে তারেক রহমানের মতো যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে কীভাবে দেশে ফেরত আনা যায়, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে কীভাবে মুক্ত করা যায়। খালেদা জিয়ার হাঁটুর ব্যথা, পায়ের ব্যথা তার কাছে ইস্যু।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জোটের উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাস।
জোটের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন যুগান্তর সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজের মহাসচিব সাবান মাহমুদ, কণ্ঠশিল্পী এসডি রুবেল, আওয়ামী লীগ নেতা এমএ করিম, স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন টয়েল প্রমুখ।
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির পরবর্তী প্রজন্ম তা চায় না। ১৯৭১ সালে তারা ফতোয়া দিয়েছিল- মুক্তিযোদ্ধারা কাফের, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করা ঈমানের বরখেলাপ।
এমনকি এ ফতোয়া দেয়া হয়েছিল- আমাদের মা-বোনরা গনিমতের মাল, তাদের ভোগ করা যায়। যারা সেই ফতোয়া দিয়েছিল, তাদের পরবর্তী প্রজন্ম হচ্ছে আজ যারা ভাস্কর্যবিরোধী।
যারা সেই ফতোয়া দিয়েছিল, তাদের অনুসারীরা ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দিয়ে একটি শ্রেণিকে উসকে দিচ্ছে, ভাস্কর্য ভাংচুর করছে।
তিনি বলেন, এদেশে ভাস্কর্য হাজার বছর ধরে আছে। এ দেশে ব্রিটিশ আমলে ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছে, পাকিস্তান আমলে হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরও আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ধারণ করার স্বার্থে ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছে। তখন কেউ কথা বলেনি। কিন্তু যখন বিভিন্ন জায়গায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মিত হচ্ছে, তখন তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। এটি রহস্যজনক।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যবিরোধী কথা বলে তারা আবার গ্রহণযোগ্যতা আদায়ের জন্য বঙ্গবন্ধুর পক্ষে দু-চার কথা বলার চেষ্টা করছে। এগুলো হচ্ছে ছলচাতুরী। এসব তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার অপকৌশলের অংশ।
ভাস্কর্যবিরোধীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভাস্কর্য নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে জনগণকে ভুল বোঝাবেন না। আপনারাও বিভ্রান্তির হাত থেকে মুক্ত হোন। চোখ মেলে সারা পৃথিবীর দিকে তাকান।
অন্যথায় দেশের মানুষ যেভাবে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, এ বিক্ষোভের আগুন আপনাদের গায়ে লাগবে। দেশের সব সাংস্কৃতিক সংগঠন ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, এখন সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এসেছে- এদেশে বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরা থাকবে নাকি যারা স্বাধীনতা ও বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে না, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ব্যাহত করতে চায় তারা থাকবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর অপশক্তি ফের মাথাচাড়া দিয়েছে। স্বাধীনতার মাত্র তিন বছরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন, তখন এ কুচক্রীমহল ছোবল মারে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।
এ হত্যাকাণ্ডের আগে তারা পাটগুদামে আগুন লাগানো, ব্যাংক লুটসহ বিভিন্নভাবে প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ২৪ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু পারেনি। এখন ভাস্কর্য নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে শুধু ঘরে প্রতিবাদ করলে হবে না।
৫৫ হাজার বর্গমাইলে একসঙ্গে প্রতিবাদ করতে হবে। যারা ভাস্কর্যের অপব্যাখ্যা দিয়ে অস্থিরতা তৈরি করতে চায়, তাদের রুখে দিতে হবে।
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
আরও খবর
আরও
ইউনিভার্স ট্রিবিউন
- আল-রাজী কমপ্লেক্স (জি-৪০১-৩ ), ১৬৬-১৬৭, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মরণি, বিজয়নগর, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ
- ফোন : +৮৮ ০২ ৫৫১১১৫০১-২
- ফ্যাক্স : +৮৮ ০২ ৫৫১১১৫০৩
- ই-মেল : info.universetribune@gmail.com
- কপিরাইট
- ২০১৯-২০২০ ইউনিভার্স মিডিয়া লিমিটেড
- সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত