Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ তার পক্ষে নেই জানিয়ে বসুরহাট পৌরসভার দলটির মেয়রপ্রার্থী ও ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবও আমার সঙ্গে নেই, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগও আমার সঙ্গে নেই। তবে তার পক্ষে জনগণ আছে বলে জানান কাদের মির্জা।
তিনি রোববার বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন সামনে রেখে ৯নং ওয়ার্ড হাজিপাড়ায় এক পথসভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
আবদুল কাদের মির্জা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। তিনি নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভায় মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তার সাম্প্রতিক বক্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
আজকের পথসভায় আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব আমার সাথে নাই, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ আমার সাথে নাই, নোয়াখালী জেলা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা, বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগ আমার সাথে নাই। ডিসি, এসপি আমার সাথে নাই। তবে আমার সাথে জনগণ আছে।’
‘ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেন, আমি অসুস্থ মরে যাব। এ কথাগুলো শুনলে আমি দুর্বল হয়ে যাই। তোদের ওপর আল্লাহর গজব পড়ুক কেন্দ্রীয় থেকে এ পর্যন্ত যারা এসব ষড়যন্ত্রে মেতে আছে’-যোগ করেন কাদের মির্জা।
বসুরহাটের বারবার নির্বাচিত এই মেয়র বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবকে আগামীতে জিততে হলে আরও সতর্ক হতে হবে। নিজের বউকে সামলাতে হবে। সঙ্গে যারা চলে, তাদের ওপর নজর রাখতে হবে, কে কোথায় থেকে মাসোয়ারা নেয় সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে।
কাদের মির্জা বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব ঘরে ঘরে চাকরি দেবেন বলে অঙ্গীকার করেছিলেন। সে চাকরি এখন কোথায়? এ কথা বললে আমি পাগল, উন্মাদ!
এ সময় ‘শরম যদি লাগে গো… ঘোমটা দিয়ে চলো গো’ বলে একটা ছন্দ বলেন কাদের মির্জা। তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আমাকে এগোতে দেননি। ঢাকায় ভর্তি হতে গেলে তিনি আমাকে চট্টগ্রাম ভর্তি হতে বলেন। ঢাকায় ভর্তি হলে যদি আমি বড় নেতা হয়ে যাই।
দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে যারা তার পক্ষে কাজ করছেন না, তাদের সমালোচনা করেন কাদের মির্জা। তিনি বলেন, সব বেঈমান আর মুনাফেকে ভরে গেছে। এরা আমার ভোটের চিঠিগুলোও বিলি করেনি। শনিবার এক নারী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছে, প্রশাসন মোবাইল ট্র্যাকিং করে সব তথ্য বের করেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তা হলে ওই মহিলা কত শক্তিশালী ক্ষমতাধর।
দুই এমপির সমালোচনা করে নৌকার এই মেয়রপ্রার্থী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নোয়াখালীতে একরাম চৌধুরী আর ফেনীতে নিজাম হাজারী যদি জামানত বজায় রাখতে পারেন; তবে আমি, আমি হিজরত করে এ দেশ ছেড়ে চলে যাব।
তিনি নোয়াখালীর প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। বলেন, নোয়াখালীর ডিসি, এসপি, জেলা নির্বাচন অফিসার সবাই ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের নেতাদের অনেকের গায়ের জোর ও বল সব সময় থাকবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট আমার আবেদন, আপনার বাবা এ দেশ স্বাধীন করেছেন, আপনি পারবেন এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে।
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
আরও খবর
আরও
- আল-রাজী কমপ্লেক্স (জি-৪০১-৩ ), ১৬৬-১৬৭, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মরণি, বিজয়নগর, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ
- ফোন : +৮৮ ০২ ৫৫১১১৫০১-২
- ফ্যাক্স : +৮৮ ০২ ৫৫১১১৫০৩
- ই-মেল : info.universetribune@gmail.com
- প্রকাশকঃ মোহাম্মদ আনারুল ইসলাম
- কপিরাইট
- ২০১৯-২০২০ ইউনিভার্স মিডিয়া লিমিটেড
- সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত কপিরাইট