বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, সম্প্রতি নতুন পদ্ধতিতে সম্পন্ন হওয়া কনস্টেবল নিয়োগে জব মার্কেট থেকে বেস্ট অব দি বেস্ট প্রার্থী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার পদে নিয়োগেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
আইজিপি বলেন, পরিবর্তিত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পুলিশে সাব ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট ও কনস্টেবল নিয়োগের ফলে জব মার্কেট থেকে বেস্ট অব দি বেস্ট লোক আসবে।
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশ এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের যৌথ আয়োজনে পরিবর্তিত পদ্ধতিতে বাংলাদেশ পুলিশের ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পর্কিত এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।এতে আরও বক্তব্য দেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন।
পুলিশপ্রধান বলেন, আমরা মেধার পাশাপাশি শারীরিকভাবে যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করছি। আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে মানুষ এক্ষেত্রে পরিবর্তন দেখবেন। তিনি বলেন, নতুন প্রক্রিয়ায় কনস্টেবল নিয়োগ ছিল একটি দুঃসাহসিক কাজ।
সফলভাবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আইজিপি বলেন, আপনারা বাংলাদেশ পুলিশে এক নবযাত্রার সূচনা করেছেন, সৃষ্টি করেছেন ইতিহাস। আপনারা এ ইতিহাসের অংশ হয়ে রইলেন।তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিবর্তনশীল। সময়ের প্রয়োজনে সংগঠনে পরিবর্তন আনতে হয়। যে সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন হয় না তা মৃত।
ড. বেনজীর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে। বাংলাদেশ পুলিশকে উন্নত দেশের উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কনস্টেবল, সাব-ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া সংশোধনের মধ্য দিয়ে এ পরিবর্তনের সূচনা করা হয়েছে। প্রায় চল্লিশ বছর পর কনস্টেবল নিয়োগে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হবে।
এ সময় আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার জন্য টেলিটক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও টেলিটকের সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশ পুলিশ আগ্রহী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত আইজি মো. মাজহারুল ইসলাম। সাব ইন্সপেক্টর নিয়োগ প্রক্রিয়ার সার্বিক দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন এআইজি (আরএন্ডসিপি-১) মো. মাহফুজুর রহমান আল-মামুন।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজি, ঢাকায় পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং টেলিটকের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার থেকে অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। সব রেঞ্জ ডিআইজি এবং জেলার পুলিশ সুপাররা ভার্চুয়ালি কর্মশালায় যুক্ত ছিলেন।