নিজেদের অর্ধ থেকে ক্লেমো লংলে বল বাড়ালেন গাভির উদ্দেশ্যে। আলতো টোকায় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে দারুণভাবে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে এড়িয়ে দ্রুত এগিয়ে গেলেন। আরও এক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকেই ডান পায়ের কোনাকুনি শট। বল খুঁজে নিল জাল। তাতেই অনন্য এক কীর্তি গড়ে ফেললেন এ তরুণ।
গাভির এ অসাধারণ গোলে চলছে তার বন্দনা। কারণ গোলটা মনে করিয়ে দেয় বার্সেলোনার সাবেক তারকা লিওনেল মেসিকে। বার্সায় থাকাকালীন সময়ে এমন অনেক গোল করেছেন এ আর্জেন্টাইন তারকা। তবে চলতি মৌসুমে তার দল ছাড়ার পর যেন এক শূন্যতা তৈরি হয়েছিল কাতালান ক্লাবটিতে। সে শূন্যতাই যেন পূরণ করলেন গাভি।
মাত্র ১৭ বছর ১৩৫ দিন বয়সে গোলটি করলেন গাভি। যা বার্সেলোনার হয়ে তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ গোলস্কোরার। তাতে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হিসেবে আরও দূরে সরে গেলেন মেসি। সেরা পাঁচ থেকে ছিটকে চলে গেলেন ষষ্ঠ স্থানে। ২০০৫ সালে ১৭ বছর ৩৩১ দিন বয়সে বার্সায় নিজের প্রথম গোলটি করেছিলেন মেসি।
অথচ আধুনিক ফুটবলে বার্সেলোনার সর্বকনিষ্ঠ (সবমিলিয়ে তিন নম্বরে) গোলদাতা হিসেবেই অভিষেক হয়েছিল মেসির। দুই বছর যেতেই তার সাবেক সতীর্থ বোজান ক্রিকিচ ১৭ বছর ৫২ দিন বয়সে গোল করে সে রেকর্ড ভেঙে দেন। তবে বছর দুই আগে ২০১৯ সালে সে রেকর্ডও ভাঙেন আনসু ফাতি। ১৬ বছর ১৮০ দিন বয়সেই গোল করেছিলেন এ তরুণ।
নিজ ক্লাবের ইতিহাসের শীর্ষে জায়গা না পেলেও চলতি মৌসুমে পুরো ইউরোপের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা এখন গাভি। এ মৌসুমে এর আগে ১৭ বছর ২২২ দিন বয়সে গোল করেছিলেন ফরাসি ক্লাব এঙ্গারের মিডফিল্ডার মোহামেদ-আলী চো। এছাড়া ইউরোপে এবার ১৭ বছর ২৫৪ দিন বয়সে গোল দিয়েছেন রেনের লেসলি উগোচুকু।