ইউনিভার্স ট্রিবিউন অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:১৩ | আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:১৩
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশওয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার এক দিন পর নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯০ জনে। আজ মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকালেও বেশ কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার হয়। বিস্ফোরণে ভবনটির একাংশ ধসে পড়ে। এখনো সেখানে চলছে উদ্ধারকাজ।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) পেশওয়ারের পুলিশ লাইনস এলাকার একটি মসজিদে ভয়াবহ এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১০০ জন।
দেশটির পুলিশ বলছে, সোমবার দুপুর ১টার দিকে মসজিদের সেন্ট্রাল হলে বিস্ফোরণটি ঘটে। মুসল্লিরা জোহরের নামাজ আদায় করছিলেন এ সময়।
উদ্ধারকাজের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ১৭টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে মঙ্গলবার সকালে। একজন আহত ব্যক্তিকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন, আত্মঘাতী হামলাকারী জোহরের নামাজের সময় সামনের সারিতে ছিলেন। পুলিশ আরও জানায়, মসজিদের ইমাম সাহেবজাদা নূর উল আমিনও বিস্ফোরণে মারা গেছেন।
এদিকে পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) তাদের একজন কমান্ডারের প্রাথমিক দাবির পরে হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
প্রদেশের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ আজম খান এ ঘটনায় মঙ্গলবার একদিনের শোক ঘোষণা করেছেন। প্রদেশজুড়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকছে মঙ্গলবার।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পেশওয়ারে যান সেদিনই। নগরীর লেডি রিডিং হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, পাকিস্তান রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন যারা, তাদের লক্ষ্য করেই সন্ত্রাসীরা ভয়-ভীতি সৃষ্টি করতে চায়।
পেশওয়ারের পুলিশ প্রধান মুহাম্মাদ ইজাজ খান স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, হামলার ঘটনার সময় ওই এলাকায় ৩০০ থেকে ৪০০ পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্বরত ছিলেন। আত্মঘাতী হামলা ঘিরে সব ধরনের ইস্যু বিশ্লেষণ করে দেখছে তদন্তকারী টিম।
খবর জিও নিউজ