Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
করোনা ভ্যাকসিন সুষ্ঠুভাবে বিতরনে সশস্ত্র বাহিনীকে দায়িত্ব দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
দলটি মনে করে, প্রায় ১৬ কোটি মানুষের জন্য ৩২ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ প্রয়োজন হবে। বর্তমানে দুর্নীতিগ্রস্থ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দফতরের পক্ষে এই ব্যাপক কর্মযজ্ঞ সুষ্ঠুভাবে পালন করা সম্ভব নয়। এই কাজে সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে দায়িত্ব প্রদান করা উচিত।
রোববার দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব প্রস্তাব গৃহীত হয়। সোমবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব জানান, বৈঠকে অবিলম্বে ভ্যাকসিন সংগ্রহের সংরক্ষণ ও বিতরণের স্বচ্ছতা, কঠোর নজরদারি এবং জবাবদিহিতার ব্যবস্থা সম্বলিত পরিকল্পনা জনগণের সামনে উপস্থাপনের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে ইতিমধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দাবীকৃত সংগৃহীত ভ্যাকসিন বিনামূল্যে বিতরণের জন্যও আহ্বাান জানানো হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রস্তুত ইতিমধ্যেই কয়েকটি দেশে চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। অনেক দেশের সরকার ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শুরু করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশের দায়িত্বজ্ঞানহীন সরকার এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে তা স্পষ্টভাবে জনগণের সামনে তুলে ধরছে না। বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ বিভ্রান্তিমূলক তথ্য তুলে ধরছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অযোগ্যতার কারণে জীবন রক্ষাকারী ভ্যাকসিন সংগ্রহ কার্যক্রম ব্যহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। সভা মনে করে, ভ্যাকসিন সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং বিতরণের বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে না পারলে জনগণ উপকৃত হবে না। উপরন্ত ব্যাপক দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করবে। যেহেতু যথাযথ তাপমাত্রায় এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেহেতু আগে থেকেই এই বিষয়ে সকল পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সভায় মত প্রকাশ করা হয় যে, কোভিড-১৯ সংক্রমণের শুরু থেকেই সরকারের ক্ষমাহীন উদাসীনতা ও ব্যর্থতার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনও পরীক্ষার হার অত্যন্ত সীমিত। পরিকল্পিতভাবে সংখ্যা কম দেখানোর ফলে সঠিক চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, অন্যদিকে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার সুযোগ অত্যান্ত সীমিত থাকায় মৃত্যুর হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে বয়স্ক রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ ও ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউ শয্যার সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম হওয়াতে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটছে। সরকারের চরম ব্যর্থতা, অযোগ্যতা, উদাসীনতা, দুর্নীতি এবং জনগণের জীবনের মূল্য না দেয়ায় এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে সভা মনে করে। অবিলম্বে জরুরি ভিত্তিতে জেলা, উপজেলা এবং ঢাকাসহ সকল মহানগর পর্যায়ে কোভিড-১৯ সহ অন্যান্য রোগের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিতে হবে।
সম্প্রতি ঢাকা মহানগরে অনেকগুলো বস্তিতে রহস্যজনকভাবে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফলে অসংখ্য বিত্তহীন কর্মজীবী মানুষ বাস্তুহীন হয়ে পড়েছে। মুক্ত আকাশের নিচে খাদ্যাভাবে অসহনীয় জীবন কাটাচ্ছে। সভা মনে করে সরকারের মদদপুষ্ট প্রভাবশালী মহলের সরকারী জমি দখলের অসৎ উদ্দ্যেশেই এই সব অগ্নিকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে। অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং তাদের পূণর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানোর পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ, জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
এছাড়াও সভায় স্থানীয় পর্যায়ে দলের সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত ২৫ টি পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যরিষ্টার মওদুদ আহমদ, ব্যরিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
আরও খবর
আরও
ইউনিভার্স ট্রিবিউন
- আল-রাজী কমপ্লেক্স (জি-৪০১-৩ ), ১৬৬-১৬৭, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মরণি, বিজয়নগর, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ
- ফোন : +৮৮ ০২ ৫৫১১১৫০১-২
- ফ্যাক্স : +৮৮ ০২ ৫৫১১১৫০৩
- ই-মেল : info.universetribune@gmail.com
- কপিরাইট
- ২০১৯-২০২০ ইউনিভার্স মিডিয়া লিমিটেড
- সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত