Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
প্রেসিডেন্টের ক্ষমা পেতে নির্বাচনী প্রচারে অর্থদানের ঘটনায় ঘুষ পরিকল্পনার অভিযোগ নিয়ে মার্কিন বিচার বিভাগের তদন্ত চলছে। মঙ্গলবার আদালতের একটি নথির বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি এমন খবর দিয়েছে।
ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা ওই নথিতে শনাক্তকরণে সব তথ্য লুকিয়ে ফেলাসহ মারাত্মকভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে। নথিতে অ্যাটর্নিসহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের যোগাযোগ ও বৈদ্যুতিক ডিভাইসের অনুসন্ধানের বৈধতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
অজ্ঞাত এক ব্যক্তির জন্য প্রেসিডেন্টের ‘ক্ষমা বা দণ্ড মওকুফ’ পেতে হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে ‘গোপনীয় তদবির পরিকল্পনার’ কথাও ওই নথিতে নির্দেশ করা হয়েছে।
অন্তত গত আগস্ট থেকে ওই পরিকল্পনা নিয়ে তদন্ত চলছে। যাতে তদবিরকারী ও আইনজীবীরা ছাড়াও রাজনৈতিক প্রচারে একজন ধনাঢ্য অর্থদাতা এবং একজন পুরুষ কিংবা নারী, যিনি প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপের প্রত্যাশায় আছেন, তাদের জড়িত দেখা গেছে।
নথিতে আভাস দেয়া হয়েছে, ক্ষমা বা দণ্ড মওকুফ চেয়ে অনুরোধ জানাতে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তদবিরকারী ও আইনজীবীরা।
ক্ষমা পাওয়ার অনুরোধে এক দাতার কাছ থেকে ‘অতীতে নির্বাচনী প্রচারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থদান ও ভবিষ্যতে রাজনৈতিকভাবে অর্থ দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
ক্ষমাপ্রত্যাশী ব্যক্তির পক্ষ থেকে ওই অর্থদাতা এমন প্রস্তাব দিয়েছে বলে নথিতে ইঙ্গিত আছে। কিন্তু এসব ঘটনা কখন ঘটেছে, তা নথিতে উল্লেখ নেই। ট্রাম্প ও তার প্রচারের কথাও উল্লেখ করা হয়নি।
‘ক্ষমা নিয়ে তদন্ত ভুয়া খবর’ বলে মঙ্গলবার টুইটারে পোস্ট করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ওয়াশিংটনে ফেডারেল প্রসিকিউটররা আদালতকে বলেছেন, ঘুষ লেনদেনের পরিকল্পনার কিছু প্রমাণ তারা পেয়েছেন, যেখানে প্রেসিডেন্টের ক্ষমা বা দণ্ড মওকুফের বিনিময়ে ‘বড় ধরনের রাজনৈতিক সুবিধা’ দেয়ার প্রস্তাব করার কথা রয়েছে।
নিয়ম ভেঙে গোপনে তদবির করার একটি অভিযোগ নিয়েও তদন্ত করার অনুমতি পেয়েছেন ফেডারেল প্রসিকিউটররা।
ওই আদেশে বলা হয়েছে, দুই ব্যক্তি লবিস্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, যদিও লবিস্ট হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার এবং তদবিরের বিষয়বস্তু প্রকাশের বাধ্যবাধকতা তারা মানেননি।
সিএনএন লিখেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মেয়াদের শেষ বেলায় বিচার বিভাগের এই তদন্তের ঘোষণা নতুন আলোচনার জন্ম দিল।
ট্রাম্পের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সহযোগী ইতোমধ্যে ফৌজদারি অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন এবং এমন হতে পারে যে, প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ কাউকেই ক্ষমার পরিকল্পনা নিয়ে এই তদন্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ অবশ্য বলেছে, সরকারি কোনো কর্মকর্তাকে নিশানা করে এই তদন্ত তারা শুরু করছে না।
একজন আইনজীবী এবং তার একজন মক্কেলের মধ্যে লেনদেন হওয়া কিছু ইমেইল দেখার জন্যও আদালতে অনুমতি চেয়েছিলেন প্রসিকিউটররা।
বিচারক গত আগস্টেই সে অনুমতি দিয়েছিলেন, তবে ওই দুই ব্যক্তির নাম আদালতের নথিতে প্রকাশ করা হয়নি। প্রসিকিউটররা বলেছেন, এই তদন্তের জন্য মোট তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পরিকল্পনা করেছেন তারা।
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
আরও খবর
আরও
ইউনিভার্স ট্রিবিউন
- আল-রাজী কমপ্লেক্স (জি-৪০১-৩ ), ১৬৬-১৬৭, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মরণি, বিজয়নগর, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ
- ফোন : +৮৮ ০২ ৫৫১১১৫০১-২
- ফ্যাক্স : +৮৮ ০২ ৫৫১১১৫০৩
- ই-মেল : info.universetribune@gmail.com
- কপিরাইট
- ২০১৯-২০২০ ইউনিভার্স মিডিয়া লিমিটেড
- সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত