জন্মের পরপরই শিশুটিকে অবিরত কান্না করতে দেখে মা দুধপান করাতে চাইলে শিশুকে দূরে সরিয়ে রাখেন ডাক্তার ও কর্তব্যরত নার্সরা। তখন একরকম জোর করে শিশুকে মায়ের কাছে নিয়ে এলে মাথার পেছন দিক রক্তাক্ত দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন শুকরিয়া বেগম।
প্রবাসী ফারুক আহমদের মামাতো ভাই ইজ্জাদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদের কাছে প্রথমে বিষয়টি লুকানোর চেষ্টা করেন ডাক্তার ও নার্সরা। পরে আমরা দেখে ফেললে আমাদের তারা সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করেন।
তিনি বলেন, শিশুর মাথার পেছন দিকে প্রায় এক-দেড় ইঞ্চি জায়গা কেটে গেছে। আরেকটু কেটে গেলে হয়তো ওর প্রাণটাই হুমকির পড়ে যেত।
এ বিষয়ে ফেয়ার হেলথ হাসপাতালে রিসিপশনিস্ট দোলন চৌধুরী বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। ঘটনার পরপরই হাসপাতালের ব্যবস্থাপকসহ ঊর্ধ্বতনরা শিশুকে দেখে গেছেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।
মাথা কাটার বিষয়ে গাইনি বিভাগের সার্জারি ডাক্তার আবদুস সবুর যুগান্তরকে বলেন, এটি কোনো ঘটনাই নয়। এরকম মাঝে-মধ্যেই ঘটে। শিশুর অভিভাবককে বিষয়টি লুকানোর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এ অভিযোগ সত্য নয়। সামান্যই কেটেছে এবং শিশুটির অবস্থা ভালো। তারপরও আমরা আলাদা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে ট্রিটমেন্ট করাচ্ছি।