উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিষয়ক বিরোধের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করতে পেরেছেন এবং এ সংক্রান্ত সংশোধিত তথ্যাদি জাতিসংঘে জমা দিয়েছে।
সমুদ্র বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো বিশেষ করে সমুদ্র-স্তরের উচ্চতা বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ক্রমাগত সমুদ্র-স্তরের উত্থান সুপেয় পানি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য ও জীবিকা সম্পর্কিত বিদ্যমান দূরাবস্থাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং এজেন্ডা ২০২০ এর সময়ানুগ ও কার্যকর বাস্তবায়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশ সমুদ্র-স্তরের উচ্চতা বৃদ্ধির মতো নাজুক পরিস্থিতির শিকার হয়েছে মর্মে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।
এই নাজুক পরিস্থিতি মোকাবেলায় শেখ হাসিনা সরকার গৃহীত ২০০৯ সালের ‘জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা’সহ বিভিন্নমুখী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি। দেশের সমুদ্র-সম্পদের দক্ষ ব্যবহার, সংরক্ষণ ও বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ মেরিটাইম জোন আইন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে মর্মে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।
চলমান কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষাপটে সমুদ্র সম্পদের ওপর নির্ভরশীল মানুষ বিশেষত উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র ও উপকূলীয় সম্প্রদায়ের বিভিন্ন পেশাজীবীদের জীবিকা ও কর্মসংস্থান সংকটের বিষয়টি উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও স্থানীয় পর্যায়ে সম্মিলিত সহযোগিতা ও সমন্বয় বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বরোপ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তারা যাতে এ পরিস্থিতি থেকে আরও ভালো পর্যায়ে উত্তরিত হতে পারেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এ সভায় সামুদ্রিক মৎস্য এবং সমুদ্র আইন বিষয়ক দুটি রেজুলেশন গ্রহণ করে। বাংলাদেশ উভয় রেজুলেশনে সমর্থন জানায়।