Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের অভ্যুদয় হলেও তখনও পাকিস্তানে বন্দি ছিলেন স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান; উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ছিলেন সদ্য স্বাধীন দেশের মানুষ।
চাপের মুখে পাকিস্তান সরকার মুক্তি দিলে যুদ্ধে বিজয়ের ২৪ দিন পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি নিজের স্বপ্নের স্বাধীন দেশে পা রাখেন জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান।
পাকিস্তানের ২৪ বছরের দুঃশাসনের নাগপাশ ছিঁড়ে বাঙালিকে মুক্তির বন্দরে পৌঁছে দেওয়া সেই মহান নেতার বাংলার মাটিতে পা রাখার মধ্য দিয়েই সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল।
তখন থেকে দিনটি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এবার তার ৪৯তম বার্ষিকী উদযাপিত হবে এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে।
গতবছর জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নেওয়া মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছিল এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসেই। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সূচনা হয়েছিল মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানমালার, যা চলবে এ বছর ১৬ ডিসেম্বর, বিজয় দিবস পর্যন্ত। এরই মাঝে ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বাড়ি থেকে পাকিস্তানি সেনারা আটক করে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়। ওই রাতেই বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের উপর শুরু হয় বর্বর হামলা।
পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান বঙ্গবন্ধু। তার ডাকে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তি সংগ্রামে।
নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
ক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর বিশ্ব জনমতের চাপে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি ভোরে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। মুক্তির পর তিনি লন্ডন যান। সেখান থেকে ব্রিটিশ বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে ১০ জানুয়ারি দিল্লি পৌঁছান।
সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ ভারতের মন্ত্রিসভার সদস্যরা সংবর্ধনা দেন বঙ্গবন্ধুকে। পরে সেদিন দুপুরে ঢাকা এসে পৌঁছান জাতির জনক।
চূড়ান্ত বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য প্রাণবন্ত অপেক্ষায় ছিল জাতি। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানায়।
প্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়ে বাঙালি সেদিন জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তোলে বাংলার আকাশ বাতাস। তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে খোলা ট্রাকে করে বঙ্গবন্ধু পৌঁছান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ।
সেখানে দাঁড়িয়ে সদ্য স্বাধীন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। প্রায় কুড়ি মিনিটের সেই আবেগঘন বক্তৃতায় তিনি বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানে বন্দিদশায় তিনি ফাঁসিকাষ্ঠে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু তিনি জানতেন, বাঙালিকে কেউ ‘দাবায়ে রাখতে’ পারবে না।
“যে মাটিকে আমি এত ভালবাসি, যে মানুষকে আমি এত ভালবাসি, যে জাতিকে আমি এত ভালবাসি, আমি জানতাম না সে বাংলায় আমি যেতে পারবো কি-না। আজ আমি বাংলায় ফিরে এসেছি বাংলার ভাইয়েদের কাছে, মায়েদের কাছে, বোনদের কাছে। বাংলা আমার স্বাধীন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন।”
যতদিন বাংলাদেশ ততদিন অনুপ্রেরণা উৎস বঙ্গবন্ধু: রাষ্ট্রপতি
স্বদেশ প্রদত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, যতদিন বাংলাদেশ ও বাঙালি থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু সবার অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।
“বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে জাতির পিতার অবদান ছিল অতুলনীয়। প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন বাঙালির স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন বাংলার রূপকার।”
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সদ্য-স্বাধীন দেশের মাটিতে পা রেখেই বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তা স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, “দেশ ও জনগণের প্রতি এমন অকৃত্রিম ভালোবাসার উদাহরণ বিশ্বে বিরল।”
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তার আদর্শ মুছে দিতে এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব খর্ব করতে যে অপচেষ্টা চালিয়েছিল, সে কথাও বাণীতে বলেন রাষ্ট্রপ্রধান।
তিনি বলেন, “কিন্তু বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আজ অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে। যতদিন বাংলাদেশ ও বাঙালি থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু সবার অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। ”
ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব: প্রধানমন্ত্রী
দেশ ও রাষ্ট্রবিরোধী সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখার প্রত্যয় জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি বলেন, “জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের এই মাহেন্দ্রক্ষণে আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি- প্রয়োজনে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে হলেও ত্রিশ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ নির্যাতিত মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখব।
“জাতির পিতা যে অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সকল আশু ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের কার্যকরি ভূমিকা রাখব, ইনশাআল্লাহ।”
বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলার মানুষ তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়ে অনুভব করেছিল পরিপূর্ণ বিজয়ের স্বাদ।
“বাঙালির মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে এক ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বদেশপ্রত্যাবর্তন করেন।
“এই মহান নেতার অনুপস্থিতিতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত জয়ের উল্লাস-উদ্দীপনায় অপূর্ণতা ছিল যেমন স্পষ্ট, তেমনই যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন দেশপুনর্গঠনে তার নেতৃত্বগ্রহণ সার্বজনীন উপলব্ধিতেও ছিল অতি প্রতীক্ষিত। তাই, ১০ জানুয়ারি বাংলার মানুষ তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়ে অনুভব করেছিল পরিপূর্ণ বিজয়ের স্বাদ।”
দেশভাগের পর ২৪ বছরে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী তার বানীতে বলেন, “জাতির পিতা পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য দীর্ঘ ২৪ বছর সংগ্রাম করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম সকল ক্ষেত্রেই তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।
“জেল-জুলুম সহ্য করেছেন, সবসময় দূরদর্শী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এবং ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়ে দলকে সুসংগঠিত করেছেন। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৭০ এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। তিনি হয়ে ওঠেন বাংলার অবিসংবাদিত নেতা।”
একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর বন্দি অবস্থাতেও বঙ্গবন্ধুই যে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘প্রাণশক্তি’ ছিলেন, সে কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
“স্বাধীনতা ঘোষণা করার পরপরই পাকিস্তানি বাহিনী জাতির পিতাকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের নির্জন কারাগারে প্রেরণ করে এবং তার ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালাতে থাকে। প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে মৃত্যুর প্রহর গুণতে গুণতেও তিনি বাঙালির জয়গান গেয়েছেন।
“তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণশক্তি। তার অবিচল নেতৃত্বে বাঙালি জাতি মরণপণ যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনে।”
দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন শেখ মুজিব। সে বছরের ১৪ ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে স্বাক্ষর করেন। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বন্ধুদেশগুলো দ্রুত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
শেখ হাসিনা বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে অতি অল্প দিনের মধ্যে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় এবং একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে মাত্র সাড়ে তিন বছরেই স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশের উল্টোযাত্রার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, “মোস্তাক-জিয়াচক্র খুনিদের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে কূটনৈতিকের চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে, রাজনৈতিকভাবেও প্রতিষ্ঠিত করে। মার্শাল ল’ জারির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিকৃত করে। সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রুদ্ধ করে। বিএনপি-জামাত সরকার এ ধারা অব্যাহত রাখে।”
২১ বছরের রাজনৈতিক পথ পরিক্রমায় ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল, সে কথাও প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন।
থাকছে নানা আয়োজন
জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে মুজিববর্ষ উদযাপানের প্রস্তুতি থাকলেও ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের মহামারী তাতে বাদ সেধেছে। জনসমাগম হয় এমন কর্মসূচি বাদ দিয়ে সীমিত আকারে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে বাংলাদেশ। এবার বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠানমালাও সেভাবেই সাজানো হয়েছে।
সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশসহ ১১টি দেশের ২০০ অ্যাথলেটের অংশগ্রহণে রোববার ভোরে রাজধানীতে হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথনে’।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সমন্বয়ে এ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সহযোগিতা করবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।
ফুল ম্যারাথন, হাফ ম্যারাথন এবং ডিজিটাল ম্যারাথন- এই তিন ক্যাটাগরিতে ম্যারাথন পরিচালনা করা হবে। রোববার ভোর ৬টায় রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়াম থেকে শুরু হবে দৌড়। বনানী, গুলশান ঘুরে হাতিরঝিল চক্কর দিয়ে শেষ হবে ম্যারাথন।
সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমিতে থাকছে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তিনটি বিশেষ ডিজাইনের ই-পোস্টারও প্রকাশ করেছে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও রোববার নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ভোর সাড়ে ৬টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন ও সারাদেশে সংগঠনের সকল কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করবে আওয়ামী লীগ।
বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সীমিত পরিসরে আলোচনা সভা হবে। য়ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেখানে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, দেশের প্রতিটি জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দল এবং সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন একই ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করবে।
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
আরও খবর
আরও
- আল-রাজী কমপ্লেক্স (জি-৪০১-৩ ), ১৬৬-১৬৭, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মরণি, বিজয়নগর, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ
- ফোন : +৮৮ ০২ ৫৫১১১৫০১-২
- ফ্যাক্স : +৮৮ ০২ ৫৫১১১৫০৩
- ই-মেল : info.universetribune@gmail.com
- প্রকাশকঃ মোহাম্মদ আনারুল ইসলাম
- কপিরাইট
- ২০১৯-২০২০ ইউনিভার্স মিডিয়া লিমিটেড
- সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত কপিরাইট