ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। দলের টিকিটও বগলদাবা করেছিলেন। ভোটের প্রচারে গিয়ে ঝলকও কম দেখাননি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে উঠেননি। প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের প্রার্থীর চেয়ে ৫০ হাজার ভোট কম পেয়ে গো হারা হেরেছেন।

 

বলছি টালিউডের বিউটি কুইন শ্রাবন্তীর কথা। নির্বাচনজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে ছিলেন এই নায়িকা। দলবদল করায় তাকে ছেড়ে কথা বলেননি খোদ সহ-অভিনেতারাও। প্রচারে গিয়ে নেচে গেয়ে ফের ট্রলের শিকার হন। ভোটে হারার পরও ব্যাপক সমালোচনা শুনতে হয় শ্রাবন্তী।

ভোটের পর এতদিন চুপচাপ ছিলেন শ্রাবন্তী। সব সমালোচনা সয়ে নীলকণ্ঠী হওয়ার চেষ্টায় ছিলেন এই সুদর্শনী। 

নির্বাচনের ফলের পরে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় এই প্রথম নিজের ছবি পোস্ট করলেন কলকাতার সিনেমার অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। গাড়িতে বসে, চোখে রোদ চশমা পরে বসে আছেন। ছবিতে লিখলেন, ‘পথ চলার মাঝে ব্যর্থতা আসবেই’।

কোন ব্যর্থতার কথা বলতে চাইলেন অভিনেত্রী সে নিয়ে মজায় মেতেছেন তার অনুরাগীরা।

এ ভোটের মাঠে হারের ব্যর্থতা নাকি রোশনের সঙ্গে দাম্পত্যের? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। শ্রাবন্তী অবশ্যই এসব প্রশ্নের কোনোটারই জবাব দেননি।

সত্যিই সময়টা ভালো যাচ্ছে না দুই বাংলায় সমান জনপ্রিয় এই নায়িকার। তৃতীয় বিয়েটা ভেঙে যাওয়ার পথে। রাজনীতিতে গিয়েও সুবিধা করতে পারলেন না।

ভোটের ফল প্রকাশ পাওয়ার দু’দিন পরে বিজেপি-র প্রবীণ নেতা তথাগত রায় শ্রাবন্তীর কড়া সমালোচনা করেন। শ্রাবন্তী, তনুশ্রী চক্রবর্তী এবং পায়েল সরকারকে কেন টিকিট দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। কিন্তু সেই প্রশ্নের মধ্যে ‘অপমান’ করার চেষ্টাও চোখে পড়ে অনেকের।

দোলের দিন একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের সঙ্গে ছবি তোলা নিয়েও কটূক্তিও করেন তথাগত। টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, ‘নগরীর নটীরা নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন আর মদন মিত্রর সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন (এবং হেরে ভূত হয়েছেন) তাদেরকে টিকিট দিয়েছিল কে’?

এ নিয়ে শ্রাবন্তী চ্যালেঞ্জ করেছেন তথাগতকে। তিনি প্রমাণ চেয়েছেন এসবের বিরুদ্ধে।

তবে অনেকেই স্বামী রোশনের সঙ্গে শ্রাবন্তীর দাম্পত্য ব্যর্থতার দিকে ইঙ্গিত করেছেন।

 

সর্বশেষ
আরও খবর