ইউনিভার্স ট্রিবিউন অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:০৯ | আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:১২
আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। আজ রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শুরু হয় এ মোনাজাত। এতে দেশি-বিদেশি লাখো মুসল্লি অংশ নেন। এ সময় দেশের কল্যাণ, মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা।
এর আগে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মো. সায়েম জানান, আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেছেন ইজতেমায় আদি তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বি দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী। এর আগে তিনিই হেদায়েতি বয়ান করেন।
এদিকে, আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আজ রোববার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইজতেমা ময়দানের আসতে থাকেন মুসল্লিরা। আজ বাদ ফজর ভারতের দিল্লির মোরসালিন নিজামুদ্দিনের বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার তৃতীয় দিন শুরু হয়। এ সময় তাৎক্ষণিকভাবে বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আশরাফুল। বয়ানের পর নাশতার বিরতি দিয়ে ৯টা থেকে মাওলানা মোশাররফ তালিম করেন।
বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইজতেমা ময়দানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে, তা যথেষ্ট। যে প্রক্রিয়ায় প্রথম পর্ব শেষ করেছি, সে প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে দ্বিতীয় পর্বও শেষ হবে বলে প্রত্যাশা করছি। ফিরতি মুসল্লিদের জন্য বিশেষ ১০টি ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, ইজতেমা উপলক্ষে নতুন মেট্রোরেলের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। দুই পর্বের ইজতেমায় এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। প্রত্যাশা করছি ইজতেমা সুন্দরভাবে শেষ হবে।’
নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এবারের ইজতেমার বিশেষত্ব ছিল কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি), সিসিটিভি ক্যামেরা, ড্রোনভিউ ক্যামেরা, সাইবার প্রেট্রোলিং, সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং, বিভিন্ন পয়েন্টে ডিজিটাল ম্যাপসহ নানা তৎপরতা। এ ছাড়া প্রতি খিত্তায় পুলিশ কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক উপস্থিত ছিলেন যেন তাদের সঙ্গে মিশে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। সব মিলিয়ে যেকোনো বছরের তুলনায় এবার নিরাপত্তা খুব সুন্দর, সুচারু ও গোছানো ছিল।’
সড়ক বন্ধের বিষয়ে জিএমপি কমিশনার বলেন, ‘অবস্থা বুঝে আমরা ব্যবস্থা নেব। যদি দেখি প্রচুর মুসল্লি আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন এবং সেজন্য সড়ক বন্ধ করা প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে আমরা বন্ধ করব। এখন পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল মোটামুটি স্বাভাবিক রয়েছে। মুসল্লিদের সংখ্যা বাড়লে টঙ্গী ও কামারপাড়া সড়ক বন্ধ করে দেব।’