Facebook
Twitter
Youtube
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
বিবৃতিতে বলা হয়, অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য সংগ্রহকালে যেভাবে কর্মকর্তাদের দ্বারা হেনস্তা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন তা আমাদের বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। বর্তমান করোনা দুর্যোগকালে সংকট মোকাবিলায় সরকার ও জনগণের যে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস পরিচালিত হচ্ছে তা সর্বতোভাবে জোরদার করার লক্ষ্যে আমরা সবাই সমবেত রয়েছি। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যকর্মীরা গুরুদায়িত্ব পালন করে চলেছেন। একইসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কতিপয় কর্মচারী-কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে সরকারও বিভিন্ন সময় বিব্রত হয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ ক্ষেত্রে রোজিনা ইসলামসহ অন্যান্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সহযোগিতা দ্বারা সরকার উপকৃত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম আক্রান্ত হওয়ার কার্যকারণ আরও তলিয়ে দেখা ও হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের কর্মকাণ্ডের তদন্ত করার দাবি আমরা জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তার মুক্তিলাভে সরকার বিবেচকের ভূমিকা পালন করবেন। তথ্য প্রাপ্তির অধিকার এবং দুর্নীতির প্রতি শূন্য সহনশীলতা— সরকার ঘোষিত এই দুই নীতির সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেওয়া ব্যবস্থা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
বিবৃতি দিয়েছেন বিশিষ্ট কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী, কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, শিক্ষাবিদ ও লেখক অনুপম সেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারোয়ার আলী ও মফিদুল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, লেখক আবদুস সেলিম ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ।
এদিকে, পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। এই ঘটনায় সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি (৬৮টি নারী মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠন) বিবৃতি দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এই বিবৃতি পাঠানো হয়।
বিবৃতি বলা হয়, আমরা গভীর বিষ্ময় ও উদ্বেগের সঙ্গে জানতে পারলাম যে, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে আটতে রেখে হেনস্তা করা হয়েছে। তাঁকে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বিবৃতি আরো বলা হয়, সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময়ে একজন নারী সাংবাদিকের ওপর সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের এই আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। একই সাথে নারী সাংবাদিকের ওপর সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তার শারীরিক নির্যাতনের যে ছবি দেখা যায়, তাতে সবাই বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।
সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের মুক্তি ও তাঁর সুচিকিৎসার দাবি জানাচ্ছে এবং সেই সাথে নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে।
সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির তালিকা রয়েছে- বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, ব্র্যাক, উইমেন ফর উইমেন, কেয়ার বাংলাদেশ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, অক্সফাম জিবি, এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড ভিশন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী এবং সেভ দ্য চিলড্রেনসহ ৬৮ নারী মানবাধিকার, উন্নয়ন সংগঠন।
এর আগে সরকারি নথির ছবি তোলার অভিযোগ এনে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় সচিবালয়ে আটকে রাখা হয় প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে। পরে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তিনি পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে একটি কক্ষে তাকে আটকে রাখা হয়। এ সময় তার মুঠোফোন কেড়ে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
বিকালে সাংবাদিকেরা সচিবালয়ের বাইরে জড়ো হয়ে রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও আটকে রাখার প্রতিবাদ করেন।
পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু নথির ছবি তোলার অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
সর্বশেষ
আরও খবর
- আল-রাজী কমপ্লেক্স (জি-৪০১-৩ ), ১৬৬-১৬৭, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মরণি, বিজয়নগর, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ
- ফোন : +৮৮ ০২ ৫৫১১১৫০১-২
- ফ্যাক্স : +৮৮ ০২ ৫৫১১১৫০৩
- ই-মেল : info.universetribune@gmail.com
- প্রকাশকঃ মোহাম্মদ আনারুল ইসলাম
- কপিরাইট
- ২০১৯-২০২০ ইউনিভার্স মিডিয়া লিমিটেড
- সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত কপিরাইট