Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
ঘন কুয়াশার সঙ্গে তীব্র শীত বয়ে চলেছে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে। সেই সঙ্গে ঝিরঝির বৃষ্টি মতো কুয়াশা শুরু হয়েছে। এমন অবস্থায় দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। আলুচাষীরাও উৎকণ্ঠায় আছেন। এখন শৈত্যপ্রবাহ হলে আলু আবাদের মারাত্মক ক্ষতি হবে এমনটি আশঙ্কা করছেন চাষীরা।
সোমবার ভোর থেকে এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি উত্তরের ৮ জেলায়। তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছেন। নদী অববাহিকায় কুয়াশায় পাঁচ ফুট সামনে পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না কোনো কিছু। আঞ্চলিক ও মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে।
দিনভর রংপুরে সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। কুয়াশায় ঢেকে আছে মাঠঘাট। ঘন কুয়াশার কারণে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে জনজীবনে।
নগরীর তামপাট এলাকার সুজন মিয়া বলেন, শীতে ঘর থেকে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে গেছে। কুয়াশার কারণে চার হাত দূরে কী আছে তা বোঝা যাচ্ছে না। হাঁটতে গেলেও সাবধানে পা ফেলতে হচ্ছে। দুপুরের দিকে সূর্য দেখা গেলেও তা বেশি সময়ের জন্য ছিল না।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।
গত বছরের ডিসেম্বরেসোমবার ভোর থেকে এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি উত্তরের ৮ জেলায়। তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছেন। নদী অববাহিকায় কুয়াশায় পাঁচ ফুট সামনে পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না কোনো কিছু। আঞ্চলিক ও মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে।
দিনভর রংপুরে সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। কুয়াশায় ঢেকে আছে মাঠঘাট। ঘন কুয়াশার কারণে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে জনজীবনে।
নগরীর তামপাট এলাকার সুজন মিয়া বলেন, শীতে ঘর থেকে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে গেছে। কুয়াশার কারণে চার হাত দূরে কী আছে তা বোঝা যাচ্ছে না। হাঁটতে গেলেও সাবধানে পা ফেলতে হচ্ছে। দুপুরের দিকে সূর্য দেখা গেলেও তা বেশি সময়ের জন্য ছিল না।
অন্যদিকে হঠাৎ জেঁকে বসা শীতে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতে দিনমজুর ও খেটেখাওয়া মানুষ নাকাল হয়ে পড়েছেন। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্যের আলোর উত্তাপ পাওয়া যায়নি। ফলে কমছে না শীতের তীব্রতা। শীতবস্ত্রের অভাবে শীতের তীব্রতা থেকে মুক্তি পেতে অনেককে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাতে দেখা গেছে।
সোমবার আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশার সঙ্গে যোগ হয়েছে হিমেল বাতাস। এর ফলে ক্রমেই শীতের অনুভূতি বাড়ছে। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত থাকবে কুয়াশার দাপট। গত রোববার নওগাঁর বদলগাছিতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে আছে চারদিক। সোমবার ভোরের দিকে ঝিরঝির করে পড়ছে কুয়াশার ফোঁটা, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমেছে। সেই সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে নামছে তাপমাত্রার হিমাঙ্কের কাঁটা। সূর্যের মুখ মাঝে মধ্যে দেখা গেলেও আলোতে কোনো উত্তাপ নেই। ফলে ক্রমেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন। এ অবস্থায় দিন আনা দিন খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ দুর্ভোগে পড়ছেন বেশি।
এদিকে কুয়াশার কারণে সকালে দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে হয়েছে।
জেলার রাজারহাটে অবস্থিত কৃষি ও সিনপটিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। রোববার সকাল ৯টায় ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। সোমবার সকাল ৯টায় তা ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে।
তিনি আরও জানান, ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি এবং এরপর থেকে হালকা কুয়াশা পড়ছে। এছাড়া আকাশ মেঘে ঢেকে থাকায় সূর্যের আলো পাওয়া যাচ্ছে না। সেই সঙ্গে উত্তর দিক থেকে ধেয়ে আসছে হিমেল হাওয়া। এ কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি।
নীলফামারী জেলায় ঘন কুয়াশার সঙ্গে তীব্র শীত বয়ে চলেছে। সেই সঙ্গে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো কুয়াশা শুরু হয়েছে। ফলে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষেরা শীতে কাহিল হয়ে পড়েছেন। সোমবার ভোর থেকে এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সদর ও সৈয়দপুরে মানুষ শীতের তীব্রতায় খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন। তিস্তা ও নদী অববাহিকায় কুয়াশায় পাঁচ ফুট দূরত্বেও দেখা যাচ্ছে না কোনো কিছু। আঞ্চলিক ও মহাসড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, সকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৬ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সারাদিনই ঘন কুয়াশা, শীত ও হিমেল হাওয়া অব্যাহত থাকবে। পঞ্চগড়ে দিন দিন তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। দিনের বেলা গরম থাকলেও রাত থেকে সকাল পর্যন্ত থাকছে শীত।
শীতের কারণে নিম্নআয়ের লোকজন ঘর থেকে বের হতে না পারায় কাজে যোগ দিতে পারছেন না। ফলে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। তারা সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সহায়তা চেয়েছেন। এদিকে সকাল থেকে পঞ্চগড়ে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, পঞ্চগড়ে কয়েক দিন থেকে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। সোমবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রোববার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই পরিস্থিতি ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, লালমনিরহাটসহ উত্তরের বিভিন্ন জেলায় দেখা গেছে। চীনে করোনাভাইরাসের উপদ্রব শুরু হয়। এটি বর্তমানে বিশ্বের ২১৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। ১১ মার্চ কোভিড ১৯-কে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
আরও খবর
আরও
ইউনিভার্স ট্রিবিউন
- আল-রাজী কমপ্লেক্স (জি-৪০১-৩ ), ১৬৬-১৬৭, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মরণি, বিজয়নগর, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ
- ফোন : +৮৮ ০২ ৫৫১১১৫০১-২
- ফ্যাক্স : +৮৮ ০২ ৫৫১১১৫০৩
- ই-মেল : info.universetribune@gmail.com
- কপিরাইট
- ২০১৯-২০২০ ইউনিভার্স মিডিয়া লিমিটেড
- সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত