বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে বিভাগীয় শহরগুলোতে মঙ্গলবার সমাবেশ করেছে বিএনপি। এ সমাবেশ ঘিরে বিভাগীয় শহরগুলো মিছিল-স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন শহরে সমাবেশে বিএনপি নেতারা বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে এক দফার আন্দোলন করা হবে। রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই তাকে মুক্ত করা হবে। বিনা চিকিৎসায় তার মৃত্যু হলে সরকার এক ঘণ্টাও টিকতে পারবে না। তারা বলেন, প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতাকর্মী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমবেত হয়েছেন। বিভাগীয় শহরের আশপাশের জেলাগুলো থেকেও দলীয় নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। এ সম্পর্কে ব্যুরোগুলোর পাঠানো খবর-
চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাছির উদ্দীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, এসএম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, আবদুল ওয়াদুদ ভুঁইয়া, কক্সবাজার জেলা বিএনপি সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, বান্দরবান জেলা বিএনপি সভাপতি ম্যা ম্যা চিং, কেন্দ্রীয় মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) জালাল উদ্দিন মজুমদার, হারনুর রশিদ প্রমুখ।
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, সরকার খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে টালবাহানা করলে জাতীয়তাবাদী শক্তি একদফার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
খুলনা: নগরীর কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিনা চিকিৎসায় খালেদা জিয়ার মৃত্যু হলে প্রধানমন্ত্রী এক ঘণ্টাও টিকতে পারবেন না। মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নিতাই চন্দ্র রায়, মশিউর রহমান, সৈয়দ মেহেদী রুমী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
রংপুর : নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, খালেদা জিয়াকে সঠিকভাবে চিকিৎসাও করাতে দিচ্ছে না এ অবৈধ সরকার। তাই নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলছি আপনারা প্রস্তুত হোন। মহানগর বিএনপির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু, আব্দুল খালেক, সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, সাইফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম মিজু প্রমুখ।
সড়কে সমাবেশ করার বিষয়ে জানতে চাইলে সামসুজ্জামান সামু বলেন, প্রশাসনের কাছে একাধিকবার যোগাযোগ করে পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ অথবা টাউন হলে সমাবেশের অনুমতি পাইনি।
সিলেট : নগরীর ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রারি মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়ার কিছু হলে আইনের বোঝা বইতে পারবে না সরকার। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও আব্দুল আহাদ খান জামালের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, হাবিবুন নবী খান সোহেল, কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন। সমাবেশের শেষ পর্যায়ে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
ময়মনসিংহ : নগরীর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার জন্য যে কোনো আন্দোলনে প্রস্তুত থাকতে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। মহানগর বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক এ কে এম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শরীফুল আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
ফরিদপুর : ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে বিদেশে সুচিকিৎসার সুযোগ না দিলে শিগগিরই কঠোর আন্দোলন করা হবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জয়নাল আবেদীন ফারুক, চৌধুরী নায়াব ইবনে ইউসুফ ও বিভাগীয় ও জেলা বিএনপির নেতারা বক্তব্য দেন।