ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে আওয়ামী লীগ থেকে নব্য বহিষ্কৃত বিদ্রোহীদের নিয়ে স্বতন্ত্র মোড়কে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করছে বিএনপি। নৌকা ডোবানোর লক্ষ্যে বিদ্রোহীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিএনপি নীরবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যাই, বিজয়নগর উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত ১০ জন প্রার্থীর সঙ্গে একই দলের আরও ১৭ জন নেতাসহ বিভিন্ন দলের ৪৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ দিকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ না নেয়া বিএনপি নেতারা নৌকাডুবির লক্ষে বিদ্রোহীদের সাথে হাত মিলিয়ে নীরবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়াও ভোটের মাঠে সরব রয়েছে জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
এদিকে সাংগঠনিকভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ না নেয়া বিএনপি নেতারাও পিছিয়ে নেই। স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তারা।
নির্বাচনে না আসায় দলীয় সিদ্ধান্ত বহাল থাকলেও স্বতন্ত্র প্রতীকে ১০ ইউনিয়নের অধিকাংশ ইউনিয়নেই বিএনপির প্রার্থী আছে। দলমত-নির্বিশেষে তারা ভোট চাইছেন নিজেদের স্বতন্ত্র প্রতীকে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জমির দস্তগীর বলেন, স্বতন্ত্র প্রতীকে ভোট অংশ নিতে আমাদের সাংগঠনিক কোনো নিষেধাজ্ঞা নাই।
বিজয়নগর থানার ওসি মির্জা মোহাম্মদ হাছান যুগান্তরকে জানান, পরিবেশ শান্ত রয়েছে। ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে এবং কোনো ধরনের অঘটন না ঘটে তার জন্য আমরা সজাগ রয়েছি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ১০৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।