অন্যান্য সদস্যরা যারা আছেন তারা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি থেকে থাকবেন। পরীক্ষার যে প্রক্রিয়া প্রশ্ন করা, খাতা মূল্যায়ন করা সেখানেও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা থাকবেন। এ রকম একটা সিদ্ধান্ত গত ১১ই নভেম্বর আমাদের একাডেমিক কমিটিতে হয়েছে সেটা আমরা ইউজিসির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।
পরীক্ষা পদ্ধতি কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট ক্যাপাসিটি হচ্ছে চার হাজার। তাহলে আমরা যদি দশ-বারো হাজার শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেই তাহলে দেখা যায় এদের মধ্য থেকেই সবাই চারটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। তাই একটা পরীক্ষা থেকেই আমরা যে কমবাইন মেরিট পজিশন করব সেখানে শিক্ষার্থীদের চয়েস অনুযায়ী কে কোথায় ভর্তি হতে চায় সেখানে ভর্তি হতে পারবে। তবে মূল ভর্তি পরীক্ষা বুয়েটেই হবে।
এ বিষয়ে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, আমরা কয়েকবছর ধরেই বুয়েটের সঙ্গে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করে আসছি। আর এটা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়েই ছিল কিন্তু তখন আমরা যে প্রস্তাব দিয়েছিলাম তাতে পর্যাক্রমে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়েরই নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই তারা বলছেন যে এর নেতৃত্ব শুধু তারাই দেবেন, মূল পরীক্ষা তাদের ক্যাম্পাসেই হবে। এখন আমরা বুয়েটের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেব কি-না সেটা একাডেমিক কাউন্সিলই সিদ্ধান্ত নেবে। তবে আমার মনে হচ্ছে অধিকাংশ শিক্ষকই বুয়েটের একক কর্তৃত্ব মেনে নেবেন না।