ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে রাজশাহী চিনিকলে আখ ক্রয় কেন্দ্রের চিঠি পৌঁছেছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে আখসংগ্রহ শুরু হবে বলে ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে।

এদিকে গত মৌসুমের চেয়ে ২৮ দিন পর আখ ক্রয় করার খবর পেয়ে চাষিরা কিছুটা স্বস্তি পেলেও চৈত্রের আবাদ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।

জানা যায়, ২০১৮-১৯ মৌসুমে ১৭ নভেম্বর আখ ক্রয় শুরু হয়। ২০১৯-২০ মৌসুমে ২১ নভেম্বর। চলতি ২০২০-২১ মৌসুমে ১৮ ডিসেম্বর থেকে আখ ক্রয় করা শুরু হবে।

এই চিনিকলের আওতায় চাষীরা সার, কীটনাশক, আখের বীজ ঋণ নিয়ে আখ চাষ করেন। চিনি কলের অধীনে ঋণী আখচাষী রয়েছেন প্রায় ১০ হাজার।  চাষীরা ঋণ নিয়ে আখের আবাদ করেন। চলতি মৌসুমকে কেন্দ্র করে চাষীদের মধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে।

২০১৯-২০ মৌসুমে এক লাখ ২৯ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই হয়েছিল। তবে চলতি মৌসুমে রাজশাহী চিনিকল অধীনে ৫২টি আখ ক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন।

এই চিনিকলের অধীনে প্রায় ১৮ হাজার চাষীর জমিতে আখ রয়েছে। বিগত এ সময়ে চিনিকলে আখ ক্রয় শুরু করলেও এ বছর ১৮ ডিসেম্বর আখ ক্রয়ের দিন নির্ধারণ হয়েছে।

আড়ানী চকরপাড়া গ্রামের আখচাষী খেতাব উদ্দিন প্রামাণিক বলেন, প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময় আখ ক্রয় শুরু হয়। কিন্তু এ বছর ২৬ দিন পর আখ ক্রয়ের বিষয়ে জানতে পেরেছি। সময়মতো আখ বিক্রি করতে না পারলে চৈত্রের ফসল আবাদ করা সম্ভব হবে না। আমার আখের জমিতে অন্য ফসলও করা সম্ভব হয় না। আমার ৩ বিঘা জমিতে মুড়ি আখসহ সাড়ে চার একর জমিতে আখ রয়েছে।

এদিকে আমার চিনিকলে ঋণও রয়েছে। আখ বিক্রি করে চৈত্রের ফসল আবাদ করার সময়ও পার হতে চলেছে। কবে আখ বিক্রি করব, আর কবে চৈত্রের ফসল আবাদ করব, এ নিয়ে চিন্তার মধ্যে পড়েছি।

গোচর গ্রামের আখ চাষী এম আমান বলেন, আমার দুই বিঘা জমি। এই দুই বিঘা জমিতে আখ রয়েছে। চিনিকলে প্রায় ৪ হাজার টাকা ঋণও রয়েছে। এই আখ বিক্রি করে চৈত্রের ফসল আবাদ করবো। কিন্তু সময় মতো আখ বিক্রি করতে না পেরে চৈত্রের ফসল আবাদ করতে পারছি না।

রাজশাহী চিনিকলের আড়ানী আখ ক্রয় কেন্দ্রের সিআইসি বশির উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে ১৮ ডিসেম্বর থেকে আখ ক্রয় করার নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই মোতাবেক আখ ক্রয় করা হবে।

Adddd_Logo.png
আরও খবর
আরও
 ইউনিভার্স ট্রিবিউন