তিনি জানান, চেয়ারম্যান লাবুসহ নুরুল ইসলামের নামে প্রতারণা মামলা হয়েছে। নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে নাটোর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে চেয়ারম্যান লাবু পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে এ ধরনের আরও অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য নাটোর গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু ও তার ব্যক্তিগত (পিএস) নুরুল ইসলাম আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতাধীন সরকারি ঘর নির্মাণ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেশকিছু ভূমি ও গৃহহীন দিনমজুরদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহহীন দিনমজুর মো. জালাল উদ্দিন গত ১২ নভেম্বর গুরুদাসপুর থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতাধীন ঘর করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু ও তার ব্যক্তিগত (পিএস) নুরুল ইসলাম।
একটু আশ্রয় পাওয়ার আশায় নিরুপায় হয়ে চন্দ্রপুর মাঝপাড়া (লক্ষীপুর) এলাকার দিনমজুর মো. জালালউদ্দিন ৫০ হাজার টাকা ঘুষ প্রদান করেন।
গৃহহীন জালাল তার এক আত্মীয়র কাছ থেকে ওই ৫০ হাজার টাকা ঋণ করে চেয়ারম্যানের পিএসের হাতে তুলে দেন।
এ মামলা ছাড়াও ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনে থানায় আরও তিনটি অভিযোগ করা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
অপর দিকে নাটোর আদালতে আরও একটি চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবুর বিরুদ্ধে। যা পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তধীন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান লাবুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।