জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জজ কোর্টের পিপি আবদুস সালাম, সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ ফটো, ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, জেলা পরিষদের সদস্য শামীম হোসেন, গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার সরকার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোনায়েম খান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর ১৯২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ২০তম অবস্থানে। আমেরিকার অবস্থান ৪০ নম্বরে এবং ভারতের অবস্থান ৩৫ নম্বরে। আমাদের দেশে কোনো ওয়েভ নেই। যেভাবে আমেরিকাতে প্রত্যেকদিন চার হাজার লোক মারা যায়, পুরো বিশ্বে প্রায় ১০ হাজারের অধিক লোক মারা যায়। সেখানে আমাদের দেশে এখন মৃত্যু হার খুবই অল্প।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে অনেকেই ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে। চায়না ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে, রাশিয়া ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে, ইউরোপ ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে, আমেরিকা ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে। ভ্যাকসিনের জন্য আমরা সব দড়জা খুলে রেখেছি। ফাইজার কোম্পানি থেকে বিনামূল্যে কিছু ভ্যাকসিন দিতে চাচ্ছে। এই ভ্যাকসিন আমরা গ্রহণ করবো এবং ফ্রন্ট লাইনারদেরকে (করোনা মোকাবিলায় সম্মুখসারিতে যারা) আগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে গড়ে প্রতিদিন ২০/২৫ জন লোক মারা যাচ্ছে। তবে আমরা চাই না করোনায় আমাদের দেশে একটি লোকও মৃত্যুবরণ করুক। আমরা সবাই মাস্ক পরি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি এবং আমরা প্রত্যেকেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখছি। যার ফলে বাংলাদেশ ভালো আছে, অর্থনীতি ভালো আছে। পৃথিবীর সমস্ত দেশ যেখানে মাইনাসে চলে গেছে সেখানে আমাদের অর্থনীতি প্লাসে আছে।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনার সময় কেউ না খেয়ে থাকেনি, কেউ গৃহহীন হয়নি।সবাই ভালো আছে, আমরা এই অবস্থায় রাখতে চাই। আমরা আশা করছি, চলতি মাসের শেষে অথবা সামনে মাসের প্রথম দিকেই বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পেয়ে যাবে এবং ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের কোনো অভাব হবে না।