এদিকে, পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। এই ঘটনায় সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি (৬৮টি নারী মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠন) বিবৃতি দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এই বিবৃতি পাঠানো হয়।
বিবৃতি বলা হয়, আমরা গভীর বিষ্ময় ও উদ্বেগের সঙ্গে জানতে পারলাম যে, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে আটতে রেখে হেনস্তা করা হয়েছে। তাঁকে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বিবৃতি আরো বলা হয়, সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময়ে একজন নারী সাংবাদিকের ওপর সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের এই আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। একই সাথে নারী সাংবাদিকের ওপর সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তার শারীরিক নির্যাতনের যে ছবি দেখা যায়, তাতে সবাই বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।
সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের মুক্তি ও তাঁর সুচিকিৎসার দাবি জানাচ্ছে এবং সেই সাথে নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে।
সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির তালিকা রয়েছে- বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, ব্র্যাক, উইমেন ফর উইমেন, কেয়ার বাংলাদেশ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, অক্সফাম জিবি, এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ, ওয়ার্ল্ড ভিশন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী এবং সেভ দ্য চিলড্রেনসহ ৬৮ নারী মানবাধিকার, উন্নয়ন সংগঠন।