প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আলোচ্য সঞ্চয়পত্র থেকে অর্জিত মুনাফা অটিস্টিকদের কল্যাণে ব্যয় করা যাবে। এ সঞ্চয়পত্র কিনতে কোনো সীমা থাকবে না। যে কোনো অঙ্কের সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে। তবে এ সঞ্চয়পত্র কেনার আগে জেলা সমাজকল্যাণ অফিস থেকে প্রত্যয়নপত্র নিতে হবে। এছাড়া আলোচ্য সঞ্চয়পত্রের বাইরে তারা অন্য কোনো সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবে না।
আগের নিয়ম অনুযায়ী- তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র কোনো প্রতিষ্ঠান কিনতে পারত না। শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে একক ও যৌথ নামে এটি কেনা যেত। বর্তমানে ব্যক্তি পর্যায়ে একক নামে ৩০ লাখ এবং যৌথ নামে ৬০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনা যায়।
সূত্র জানায়, অটিস্টিকদের নিয়ে কাজ প্রতিষ্ঠানগুলো দেশি-বিদেশি অনুদান পায়। এ সব অর্থ ব্যাংক হিসাবে অলস পড়ে থাকে। কোনো আয় হয় না বললেই চলে। প্রতিষ্ঠানগুলো আলোচ্য সঞ্চয়পত্র কিনে যাতে বাড়তি মুনাফা করতে পারে সেজন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র চালু রয়েছে।
এগুলো হল- পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র। এর মধ্যে কেবল পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ব্যক্তির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রভিডেন্ড ফান্ডের অর্থ দিয়ে কেনা যায়। প্রভিডেন্ড ফান্ডের অর্থে অন্য কোনো সঞ্চয়পত্র কেনা যায় না।