জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে প্রায় সাড়ে ২৩ কোটি মানুষকে ক্ষুধা, যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাব মোকাবেলা করতে হচ্ছে।
লোকক বলেন, আমরা সবসময়ই হতদরিদ্র ওইসব মানুষের দুই-তৃতীয়াংশের কাছে পৌঁছাতে চাই। বাকি যারা থেকে যাচ্ছে, তাদের রেড ক্রসের মতো অন্য দাতব্য সংস্থা সহায়তার চেষ্টা করবে, যাতে সেই শূন্যতা পূরণ করা যায়।
তিনি জানান, এ বছর দাতা দেশগুলো রেকর্ড ১ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার দান করেছে, যা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
তবে লোকক বলেন, ২০২১ সালের জন্য আমাদের তিন হাজার ৫০০ কোটি (৩৫ বিলিয়ন) ডলার প্রায়োজন, এটি বিশাল অঙ্কের অর্থ। কিন্তু ধনী দেশগুলো তাদের জনগণকে মহামারী থেকে সুরক্ষা দিতে যে পরিমাণ ব্যয় করছে, তার তুলনায় এই অর্থ খুবই সামান্য। এই মহামারী বিশ্বের সবচেয়ে ভঙ্গুর ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অর্থনীতির দেশগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে।
জাতিসংঘ ২০২১ সালে ৫৬ দেশে মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দিতে ৩৪টি পরিকল্পনা করেছে। সংস্থাটি এর মাধ্যমে ১৬ কোটি মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে চায়।